তিন দিনে তিনচুলে ভ্ৰমণ পরিকল্পনা
কিভাবে যাবেন- নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি করে লামাহাট্টা যাওয়া যায়। ৭০ কিলোমিটার রাস্তা। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকেও গাড়িতে যাওয়া যায়। সেখান থেকে তিনচুলে, লেপচাজগৎ ঘুরে আসা যায়।
এক নজরে হোটেল : সরাসরি বুকিং।কোথায় থাকবেন- লামাহাট্টাতে অনেক হোমস্টে আছে। আছে রিসোর্টও। এছাড়া পাবেন লজও।
Booking.com
এক কথায় তিনচুলে - পাহাড়ে জনতার ভিড়ে নয়, প্রকৃতির কোলেনির্জনে। যেখানে চারদিকে থমথমে আর রয়েছে সবুজের নিস্তব্ধতা।
তিন দিনে তিনচুলে ভ্ৰমণ পরিকল্পনা - প্রথম দিন

এক নিস্তব্ধতা বিরাজমান। ভিতরে। ভগবান বুদ্ধের অধিষ্ঠান। আমরা কিছুক্ষণ গুম্ফা ঘুরে ফিরে এলাম। একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে। সবুজ পাতায় টলটল করছে জলের ফোঁটা।আলতো ছোঁয়ায় এই বুঝি ঝরে পড়বে। সামনেই এক ভিউ পয়েন্টের উপর উঠে দেখি পাহাড়ি সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। শুধু দু’চোখ ভরে উপভোগ করতে হয়।

বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে শীতের কামড়। তাই সে দিনের মতাে রিসর্টে ফিরে এলাম। লামাহাটা পার্ক দর্শন সে দিনের মতাে স্থগিত রাখা হল। পার্কের পাশ দিয়ে আসার সময়ে দেখি বৃষ্টিতে চুপচুপে ভিজেও পর্যটকের সংখ্যা কম নয়। রিসর্টে ফিরেই চায়ের অর্ডার দিলাম। সে রাতে বাইরে রেস্তরাঁতে খেতে গিয়ে স্থানীয় একটি ছেলের সুরেলা গলায় গাওয়া এক নেপালি গান আমাদের এক অন্য জগতে নিয়ে গিয়েছিল। ওই গানের কলি ভাঁজতে ভাজতে সােজা ঘুমের দেশে। পরদিন লেপচাজগত যাব। আর যাবো টাইগার হিল।
তিন দিনে তিনচুলে ভ্ৰমণ পরিকল্পনা -দ্বিতীয় দিন
পর দিন প্ল্যান মাফিক তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। সেই একই আবহাওয়া। মেঘেদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে গাড়ি চলছে। গন্তব্যে লেপচাজগত। লামাহাটা থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার। জনপ্রিয় উইকেন্ড ডেস্টিনেশন। পাইন, ওক, রডোডেনড্রনে সজিয়ে রেখেছে লেপচাজগতকে । কাঞ্চনজঙ্ঘা মেঘেদের লুকোচুরি খেলার চোটে তুষারধবল পাহাড় চূড়া দেখা হল না। তবে যা দেখলাম তাই বা কম কি?
join.booking.com
পাইন বনের গন্ধে মম করছে ভিজে বাতাস। তার সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। রাস্তার পাশের দোকানের গরম গরম মোমো আর গরম চা। আর কি কিছু বলার অপেক্ষা রাখে?

সেখানে পৌঁছতে পেরেছিলাম শেষ পর্যন্ত। আবার দেখি মেঘেরা নেমে এসেছে রাস্তায়। আবার এক পশলা বৃষ্টি শুরু। আর দেরি না করে সোজা রিসর্টে চলে এলাম। আজ মেঘে ঢাকা রাত্রি। আজ আর আলোয় মোড়া দার্জিলিং দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু খেলা ঐ ছাদে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। যখন ঘরে এলাম। রাত বেশ গভীর। রান্নাঘর থেকে বাসন ধোয়ার শব্দ আসছিল।
তিন দিনে তিনচুলে ভ্ৰমণ পরিকল্পনা -তৃতীয় দিন
পরের দিন ফেরার পালা। কিন্তু পাহাড় ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। এ ক’দিন উজাড় করা পাহাড়ি প্রকৃতির রূপে ডুব দিয়েছি। সেখান থেকে স্মৃতিগুলিকে কুড়িয়ে এনে রেখে দিয়েছি মনের ভেতর। এখনও তাজা আছে তা।